সকালে ঘুম থেকে উঠার পাঁচটি উপকারিতা।
【১】 মানসিক সুস্থতা
সকালে ওঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুফল হচ্ছে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি। যখন কেউ সকালে ওঠেন, তখন কাজের তাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়। ইতিবাচক বার্তা দিয়ে দিন শুরু হয়। সারা দিন এই ইতিবাচক মনোভাব চলতে থাকে।
【২】 অধিক কাজের সময়
সকালে উঠলে কাজকর্ম সকাল সকাল শুরু করতে পারবেন। কর্মঘণ্টা বেশি পাবেন। কাজের গতি বেড়ে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কোনো ব্যক্তি ভোরে ওঠেন, তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাবেন, কাজে সময় নেন কম। কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, পরিকল্পনা ও লক্ষ্য অর্জনে অধিক পারদর্শী হন।
【৩】 রাতে ঘুম তারাতারি আসে
কথায় বলে, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা মানে সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া। অনিয়মিতভাবে সকালে ওঠার চেয়ে এটি নিয়মের মধ্যে ফেলতে পারলে সবচেয়ে সুবিধা। এতে ঘুম ভালো হয়। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহঘড়ি ঘুমের নতুন সময় ও সকালে ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেবে।
【৪】 প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এক গবেষণায় দেখেছেন, যারা সকাল করে ঘুম থেকে ওঠে, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে। ঘুমের মান ভালো হওয়া ও কাজের উৎপাদনশীলতার সঙ্গেও একে যুক্ত করা যায়।
【৫】 সুখানুভূতি বৃদ্ধি পায়
সকালে উঠলে জীবন সুখের হয়। জীবনে ইতিবাচক দিক বাড়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তাঁরা বেশি সুখী হন। এই সুখ স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং সারাটা জীবন ধরেই সুখ ছুঁয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
【বোনাস】
তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়াও সমান জরুরি।
মস্তিষ্ক যদি ঠিকঠাক বিশ্রাম না পায়, তাহলে সকাল থেকে উঠেই ক্লান্ত লাগবে। তবে বেশি রাত না জেগে, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে গেলে, সকালে ঘুম থেকে উঠতে তেমন সমস্যা হবে না।
বরং সারা রাত ভালো ঘুমের পর বেশ চনমনে লাগবে নিজেকে।
কারণ দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে যারা ওঠেন, তাঁরা আসলে ভালো ভাবে ঘুমোতে পারেন। ঘুমজনিত কোনো সমস্যায় তাঁরা তেমন ভোগেন না।
কেমন লাগলো কমেন্টে জানান, এবং বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আমাদের facebook page লাইক করে সঙ্গে থাকুন।