চুল পড়া বন্ধ করার 10 টি খুব সহজ ঘরোয়া উপায়
চুল পড়ার সমস্যা? কোনো সমস্যা নেই। চুল পরা, নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। মূলতঃ প্রাকৃতিক পরিবর্তন, আবহাওয়া ও আধুনিকতাই এর জন্য দায়ী।
তবে চুল পড়ার প্রাকৃতিক কিছু কারণ থাকলেও শারীরিক কিছু সমস্যাও এর কারণ হতে পারে। যেমন হরমোনাল ইমব্যালেন্স , থাইরয়েড, পুষ্টির অভাব অথবা মাথায় রক্ত চলাচল সঠিকভাবে না হওয়া।
চুল পরাটা এক সময় খুব বড় আকার ধারণ করতে পারে। এবং মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার মতন সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অধিক চুল পড়ার জন্য পুরুষদের ক্ষেত্রে মাথার তালুর চুল কমতে থাকে, এবং মহিলাদের চুলের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে ও সিঁথি ফাঁকা হতে থাকে।
চুল পড়ার সমস্যা যে শুধু বড়োদেরই হয় তা নয়। এটি শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় । তবে, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টা চুল পড়া কিন্তু স্বাভাবিক । যদি তার থেকেও পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন এটি চুল পড়ার সমস্যা হিসেবে ধরা হয়।
মূলত বালিশের কভারে কিংবা স্নানের তোয়ালেতে যদি চুলের অধিক্য লক্ষ্য করা যায় সেক্ষেত্রে চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। এবং তার থেকেও যদি বেশি চুল পড়া লক্ষ্য করা যায় তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
কারণ শুধুমাত্র বাহ্যিক ক্ষেত্রেই চুলের ক্ষতি হয় না, এর জন্য অন্তর্নিহিত কারণও দেখা যেতে পারে ।
এক নজরে দেখে নিন চুল পড়ার কারণ গুলি এবং মিলিয়ে নিন এর মধ্যে কোন সমস্যাটি আপনার রয়েছে।
প্রথমে দেখুন চুল পড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
১) চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো বংশগত। যদি কোন পুরুষের কিংবা মহিলার কোন নির্দিষ্ট বয়সের পর চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায় এবং তাদের বংশের সেই বিষয়টি ক্রমান্বয়ে দেখা যায়। তাহলে সেটি বংশগত রোগ হিসেবে ধরা হয়।
২) অনেক সময় সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা দ্যেখা জায় । এক্ষেত্রে শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এরূপ সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা অত্যাধিক ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।
৩) চুল পড়ার সমস্যার ক্ষেত্রে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যাও কারণ হয়ে থাকে । যেমন কোনরকম অসুস্থতা কিংবা কোন রকম অপারেশনের পর চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে । এক্ষেত্রে চুল যে পরিমাণ ঝরে যায় পাল্লা দিয়ে সেই পরিমাণ চুল বাড়ে না। তবে শরীর সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে সমস্যাটির সমাধান হতে পারে।
৪) শরীরে হঠাৎ ওর মনের পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলতঃ গর্ভাবস্থা বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পর কিংবা অত্যাধিক জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) থাইরয়েড , এ্যলপিয়া কিংবা মাথার তালুতে দাদের মত রোগ দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলতঃ মাথার ত্বক সংক্রমিত হলেই এই সমস্যার লক্ষ্য করা যায়।
আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যা করলে খুব দ্রুত ফর্সা ও সুন্দর হবেন
চুল পড়ার লক্ষণ বা উপসর্গ
চুল পড়া সমস্যা অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেলেই বেশ কিছু উপসর্গ আমাদের চোখে পড়ে । তাই এটিকে একটি সাধারণ সমস্যা না ভেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে ধরা উচিত। এক নজরে দেখে নিন এই উপসর্গগুলো আপনার দেখা দিয়েছে কিনা:
১) মাথার সামনের দিকে এবং তালুতে চুলের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। এবং মাথার পিছনের দিকে চুল আঁচরাতে গিয়ে চিরুনি দ্বারা বেশি আঘাত পাচ্ছে ।
২) মাথার মাঝখানে মাঝখানে কালো দাগ কিংবা মাথার তালুতে তাদের মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
৩) চুল পড়ার পরিমাণ আগের থেকে একটু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ।
৪) মাথার চুলের পাশাপাশি ভুরুর চুল কিংবা চোখের পাতা সর্বত্র থেকেই অধিক চুল ঝরছে।
৫) মাথার ত্বকে অধিক শুষ্কতা এবং খুশকির পরিমাণ বেড়ে গেছে ।
এই সমস্যাগুলি যদি অধিক মাত্রায় লক্ষ্য করা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চুল পড়া বন্ধ করার 10 টি ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া যেমন একটি গুরুতর সমস্যা তেমন এই সমস্যার সমাধান আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে । বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবি না বলেই চুল পড়া আমাদের কাছে একটি কঠিন সমস্যা মনে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার হাতের কাছেই থাকা জিনিস দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে খুব সহজেই চুল পড়া রোধ করতে পারবেন ।
1. নারকেলের দুধ দিয়েই করুন চুলের যত্ন
চুলের পরিচর্যার জন্য একটি অন্যতম উপাদান হলো নারকেলের দুধ। এর মধ্যে কোনরকম রাসায়নিক পদার্থ না থাকার জন্য এটি চুলের প্রয়োজনমতো চুলে পুষ্টি দেয় । এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং চুলে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়াও মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে দ্রুত করে। ও চুলকে গোড়া থেকে গভীরভাবে পুষ্টি দেয়।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
- নারকেল - ১টি
- শাওয়ার ক্যাপ - ১টি
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
নারকেলের দুধ খুব সহজেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় । কিন্তু প্যাকেটজাত দ্রব্য ব্যবহার না করে খুব সহজেই ঘরে বানিয়ে নিন নারকেলের দুধ।
- প্রথমে একটি নারকেল নিন। তারপর সেই নারকেলটি থেকে সাদা অংশটি আলাদা করে নিন।
- তারপর সেই সাদা অংশটিকে মিক্সচার বা পেস্ট করে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে তার দুধটা ছেকে আলাদা করে নিতে হবে।
- এরপর একটি কাপের এক চতুর্থাংশ দুধ নিয়ে উষ্ণ গরম করে নিতে হবে।
- এরপর এই ১৫ মিনিট ধরে দুধটাকে নিয়ে মাথার চামড়ায় আঙুল দিয়ে হালকা করে মালিশ করে নিন ।
- এরপর মালিশ করা হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত দুধ টিকে মেখে ৪৫ মিনিটের জন্য একটি শহর ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ।
- এরপর ৪৫ মিনিট পর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
2. নিম পাতা দিয়ে চিরতরে চুল পড়া কমান
প্রাচীনকাল থেকেই চুলের পরিচর্যার জন্য একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে নিমের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আয়ুর্বেদেও নিমকে চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত। নেমে অত্যধিক মাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
- নিমপাতা - ১০-১২টি
- নারকেল তেল - পরিমান মত
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- প্রথমে নিমপাতা নিয়ে চেপে চেপে তার নির্যাস বের করে নিতে হবে।
- তারপর নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার তালুতে ও চুলে 30 মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে।
- ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
- এছাড়াও চুলকে মসৃণ করতে চাইলে নিম পাতা বেটে তার সাথে মধু মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন।
3. চুল পড়া রোধে মেথির ব্যবহার
চুল পড়ার রোধে মেথি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । এটি খুব সহজেই পাওয়া যায় আমাদের প্রত্যেকের রান্নাঘরে এটি কম বেশি থাকে। চুলকে আরো ঘন ও মসৃণ করতে এটি সাহায্য করে । এবং এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
কি কি লাগবে?
- মেথি - ২ চামচ
- লেবুর রস - ২-৩ ফোঁটা
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- মাথার চুলে সরাসরি মেথি ব্যবহার করলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
- রাতের বেলা দু চামচ মেথি জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে লেবুর রসের সাথে।
- সকালবেলা সেই মিথির পেস্ট করে নিতে হবে।
- এরপর সেই পেজটি ৩০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে।
- তারপর যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
4. ডিমের মাস্ক দিয়ে চুলের যত্ন করুন
চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম একটি উপাদান হলো ডিম। ডিমের সাদা অংশটি তৈলাক্ত চুলের জন্য উপযোগী এবং ডিমের হলুদ অংশটি অর্থাৎ কুসুম চুলের শুষ্কতার জন্য উপযোগী চুলের সমস্ত রকম খাটটি পূরণ করে। যে কারণে ডিমকে চুলের খাদ্য ও বলা হয়।
কি কি উপাদান লাগবে?
- ডিম -১ টি
- লেবুর রস - কয়েক ফোঁটা
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- একটি ডিমের কুসুম নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস নিয়ে নিতে হবে।
- তারপর সেটাকে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে।
- এবং এটিকে মাথায় ৩০ মিনিট ভালো করে লাগিয়ে রাখতে হবে। একদম গোড়া থেকে ঢোকা অব্দি।
- তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু নিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।
4. চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস
চুলকে আরো ঘন করতে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম একটি উপাদান হলো পেঁয়াজের রস। চুলের পরিচর্যায় পেঁয়াজের রসের মতো দ্রুত অন্য কোন উপাদান সাহায্য করতে পারে না। এছাড়াও গবেষণার লক্ষ্য করা গেছে পেঁয়াজের রসে ক্যান্সার বিনাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও পেজের রস চুলকে আরো ঘন ও শক্তিশালী করে তোলে । এবং মাথাকে খুশকি মুক্ত করে ও স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে ।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
- পিয়াজ - ১ টি
- শাওয়ার ক্যাপ - ১ টি
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- একটি পেঁয়াজকে চার ভাগে কেটে নিন।
- তারপর সেটাকে মিক্সিতে ভালো করে মিক্সড করে নিন।
- এরপর পেঁয়াজের মিশ্রণটি নরম কাপড়ের সাহায্যে শীতে রসটা বের করে নিতে হবে।
- এরপর সরাসরি মাথায় লাগিয়ে দিতে হবে ও লাগানোর সাথে সাথে আঙুল দিয়ে মেসেজ করতে হবে।
- তারপর ১ ঘন্টার শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ।
- তারপর যেই শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু দিয়ে চুলটিকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
6. চুল পড়া রোধে গ্রিন টির ব্যবহার
চুল পড়ার সমস্যা রোধ করতে ও চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম একটি উপাদান হল গ্রিন টি। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলকে রোস্মি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
কি কি উপাদান লাগবে?
- গ্রিন টি ব্যাগ - ১ টি
- জল - পরিমাণমতো
কিভাবে ব্যবহার করবেন ?
- একটি মাঝারি বাটিতে এক চামচ গ্রিন টি নিন বা একটি গ্রিন টি ব্যাগ নিন তারপর সেটিকে ৩০ মিনিট অল্প আছে ফুটিয়ে নিন।
- তারপর জল টা ঠান্ডা করে পাঁচ মিনিট ধরে আঙ্গুল দিয়ে মাথার তালুতে মেসেজ করে নিতে হবে।
- তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- এইভাবে সপ্তাহের দুদিন করে মাখলে সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।
7. চুল পড়া কমাতে বিটের রস
বিটের রস চুলের সুসম খাদ্য হিসেবে পরিচিত। বিটের মধ্যে অবস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম চুলের ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করতে ও চুলকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে চুলকে রঙিন করা যায় বিটের রসের মাধ্যমে ।
কি কি উপাদান প্রয়োজন ?
- বিট - ২টি
- অলিভ অয়েল - পরিমাণ মত
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- দুটি তাজা বিট মিক্সিতে মিশ্রণ করে রস বের করে নিতে হবে।
- তারপর তাতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মাথায় ভালো করে মেসেজ করতে হবে।
- তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
8. চুল পড়া কমাতে জবা ফুল
চুল পড়া কমানোর একটি অন্যতম মুখ্য উপাদান হলো জবা ফুল। জবা কে মূলত চুলের যত্নের ফুল হিসেবে আক্ষা দেওয়া হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবা গাছের ফুল এবং পাতা তেল কন্ডিশনার শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
কি কি উপাদান লাগবে?
- জবা ফুল -৬ - ৭ টা
- জবা পাতা -৬ - ৭ টা
- নারকেল তেল -পরিমান মত
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- ৬-৭জবা ফুল ও ৬-৭ টা জবা পাতা এবং পরিমাণ মতো নারকেল তেল একটা ছোট পাত্রে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন।
- এরপর তেলটি ঠান্ডা হলে মাথায় ও পুরো চুলের তেলটি লাগিয়ে নিন।
- ৩০ মিনিট বাদে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে ১-২ এটি ব্যবহার করুন।
9. চুল পড়া কমাতে আমলকির ব্যবহার
আমলকি খুব দ্রুত চুল পড়া কমায়। এটি চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়। অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলে এক্ষেত্রে আমলা খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এতেই প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড থাকায় এটা চুলের প্রয়োজনীয় কন্ডিশনিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
কি কি উপাদান প্রয়োজন?
- কাঁচা আমলকি - ১টি
- নারকেল তেল - পরিমাণ মতো
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- কাঁচা আমলকির বীজটিকে বের করে নিয়ে সেটিকে রৌদ্রে শুকিয়ে নিতে হবে।
- তারপর সেটাকে নারকেল তেলের মধ্যে দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে উষ্ণ গরম করে নিতে হবে।
- শ্যাম্পু করার ১ ঘন্টা আগে তিন দিকে ঠান্ডা করে মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে।
10. নারকেল তেল দিয়ে সহজেই চুল পড়া কমান
সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল বানানোর জন্য একটি অন্যতম উপাদান হলো নারকেল তেল । দৈনন্দিন জীবনে চুলের স্টাইলিং কিংবা পণ্য সামগ্রী ব্যবহারে চুল নির্জিব হয়ে যায় নারকেল তেল চুলের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কি কি উপাদান লাগবে?
- নারকেল তেল - কয়েক চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- নারকেল তেল সরাসরি মাথার স্ক্যল্পে ব্যবহার করা যায় ।
- কিন্তু ব্যবহার করার আগে উষ্ণ গরম করে নিলে ভালো হয়।
- উষ্ণ গরম নারকেল তেল নিয়ে মাথার তালুতে আস্তে আস্তে 15 মিনিট ধরে মেসেজ করতে হবে।
- যে কোনো একটি হালকা বা যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন । এর ফলে আপনার চুল আরো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে ।