07 মে 1861 সালে বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ভাষার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় কিংবদন্তি বিশ্বকবির কাছ থেকে আমরা জেনেছি।
লিখেছেন জন গন মন, আমার সোনার বাংলা, গীতাঞ্জলী, ঘরে বাইরে এরকম হাজারো স্বর্ণাক্ষরে ভরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীর মন।
বাঙালি তথা ভারতীয়দের অত্যন্ত গর্বের জায়গা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আজ তার 161তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আমরা আপনার জন্য উপস্থাপন করেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমন্ধে আটটি খুবই কম প্রচারিত ফ্যাক্ট। যা হয়তো আপনি জানেন না।
1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন ভালো লেখকের পাশাপাশি একজন ভালো চিন্তাবিদ ও ছিলেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার দর্শন পড়ানো হয়। রবি ঠাকুর একবার আরেকজন মহান চিন্তাবিদ যিনি বিশ্ববাসীর মনে করে নিয়েছেন আলাদা একটা জায়গা, মাথায় ঢুকিয়েছেন E=mc² তার সাথে দেখা করেছিলেন। তিনি ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন।
তারা পরস্পর ঈশ্বর, মানবতা, বিজ্ঞান, সত্য এবং সৌন্দর্য নিয়ে কথোপকথন করেছিলেন। বর্তমানে তাদের কথোপকথনের প্রতিলিপি করা হয়েছে এবং অনলাইনেও পাওয়া যায়।
2. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার চুরি হয়ে গেছে
সাহিত্য নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ইউরোপীয়দের কাছ থেকে নিজের গুনে নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। রাখা হয়েছিল বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংরক্ষিত কুঠুরিতে।
কিন্তু কে জানে কিভাবে 2004 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কারটি চুরি গেলো কিভাবে?
তারপর সুইডিশ একাডেমি এই ঘটনার পর আবার দুইটি নকল (প্রতিবিম্ব) নোবেল পুরস্কার বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে।একটি সোনার ও অপরটি ব্রোঞ্জের।
3. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে আছে আটটা মিউজিয়াম
ভারতে 3টি এবং বাংলাদেশে 5টি মোট আটটি মিউজিয়াম রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে
ভারতের এগুলো হল বড় বাজারের কাছে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ী বা রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়াম যা কলকাতায় তার পৈতৃক বাড়ি।
শান্তিনিকেতনে আছে রবীন্দ্র ভবন এখন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিশে গেছে
আর আছে কালিম্পংয়ের কাছে মুংপুতে রবীন্দ্র মিউজিয়াম। আমাদের কবি যে এলাকায় ঘুরতে যেতেন এবং যে বাড়িতে থাকতেন তা ই মিউজিয়ামে পরিণত হয় ।
4. তিনি ছিলেন নাইট(Knighted)
King George V. 1915 খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নাইট উপাধিতে সম্মানিত করে। তারপর আমরা সবাই জানি, তিনি তার উপাধি ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রকাশ করার জন্য ফেরত দিয়ে দেন। 1919 সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে এটি ছিল একটি বিশাল প্রতিবাদ, যা ইংরেজ সরকারকে দুবার ভাবতে বাধ্য করেছিল।
আমাদের facebook page ফলো করতে ভুলবেন না।
5. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পেইন্টার ও ছিলেনযদিও তিনি তার লেখা এবং তার সঙ্গীতের জন্য সর্বাধিক পরিচিত, কিন্তু তার শৈল্পিক প্রতিভা সেখানে কখনোই থেমে থাকেনি। তিনি 60 বছর বয়সে চিত্রাঙ্কন এবং অঙ্কন শুরু করেছিলেন এবং তার কাজ প্রদর্শন (exhibition) ও করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি পেন্সিলের চেয়ে রাবার বেশি ব্যবহার করেন।
প্রথম দিকে তিনি তার আঁকার হাতের উপর কিছুটা বিরক্ত হলেও, তিনি কখনো চেষ্টা থামানো নি। 1900 সালে জগদীশচন্দ্র বসুকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,
"যেমন একজন মা তার কুৎসিত ছেলের প্রতি সবচেয়ে বেশি স্নেহ করেন,তেমনি আমি গোপনে আমার আঁকার প্রতি আকৃষ্ট বোধ করি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বরদি স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন তখনকার দিনের বেশ বিখ্যাত একজন কবি ও উপন্যাসিক। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি এই লেখালেখির পাশাপাশি তাঁর সঙ্গীত এবং সামাজিক কাজের জন্য সমাজে বেশ গুরুত্ব পেয়েছিলেন।
7.তিনি Benito Mussolini এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন
1926 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তত্কালীন ইতালির প্রধানমন্ত্রী বেনিটো মুসোলিনীর সঙ্গে দেখা করতে রোম গিয়েছিলেন। মিটিং সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতিবাচক কিছু বলেন নি। আর এই কারনে তার চেনা পরিচিতদের মধ্যে তার খ্যাতি কিছুটা পরে গিয়েছিল।
তিনি তার রাজনৈতিক মতামতে খুবই স্পষ্টভাষী ছিলেন। কেন হঠাৎ তিনি এই কাজটি করলেন, তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ চিন্তিত ছিল।
8. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংল্যান্ডে থেকে পড়াশোনা করেছিলেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব ইচ্ছা ছিল তিনি তার ছেলেকে ব্যারিস্টার বানাবেন। সে কারণে তিনি ইংল্যান্ডের ব্রাইটন শহরের একটি পাবলিক স্কুলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভর্তি করে দিয়েছিলেন । স্কুল শেষ করে তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটি তে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতেন, কিন্তু কলেজে তিনি খুব কম দিন যেতেন। এবং শেষে শেক্সপিয়রের নাটক কোরিওলানাস, এবং অ্যান্টনি এবং ক্লিওপেট্রা এবং টমাস ব্রাউনের রিলিজিও মেডিসির বিষয়ে স্বাধীন অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেন ।
এই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু গোপন ফ্যাক্ট। কেমন লাগলো আপনার কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।
আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী তাই একটি মন্তব্য করুন, যাতে আমরা এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারি।
এই নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন তাঁদের এই বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য।
আমাদের fb page এ follow করুন ও আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।